রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বাম, কংগ্রেসের ভরাডুবি :মহাজোট থেকে বেরিয়ে এলো কংগ্রেস
খবর দিনভর ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে প্রথম থেকেই বাম,কং, আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ এর সঙ্গে জোট নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে বামেদের সাথে আসন সমঝোতা নিয়ে সমস্যা হলেও পরে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট অর্থাৎ আইএসএফ এর সঙ্গে জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর সাথে জট বাঁধে। এমনকি কংগ্রেসকে উপেক্ষা করেই মুর্শিদাবাদের তিনটে আসনে প্রার্থী দেই আইএসএফ।
অবশেষে নির্বাচনে বাম, কংগ্রেসের ভরাডুবি ঝুলিতে মেলেনি একটাও আসন ।ফলে নির্বাচন পেরোতেই সম্পর্কের ইতি, অবশেষে জোট ছেড়ে বেরিয়ে এল রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।কংগ্রেসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বাধীন আইএসএফের সাথে। রাজ্যের মহাজোটও একই সাথে ভেঙে গেল।
এদিকে রাজ্যে নির্বাচনের খাতিরে ত্রিশঙ্কু জোট বজায় রাখা হলেও কংগ্রেস দলের অন্দরে এই নিয়ে অসন্তোষ ছিল। একইরকম দ্বন্দ ছিল বামফ্রন্টের অন্দরেও। এদিকে ভোটের ফলে কংগ্রেস সিপিএম দুই দলের ভরাডুবির পরেই এবার কংগ্রেস জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিল।
প্রসঙ্গত এবারে প্রথম রাজ্যে একটিও আসন না পেয়ে খাতা খুলতে পারেনি কংগ্রেস সিপিএম দুই দলই। তারপরেই দুই দলের অসন্তোষ চরমে পৌঁছয়। আজ কংগ্রেসের কর্মী সমিতির বৈঠকের পর সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আজ এই ব্যাপারে জানান ভবিষ্যতে আর আইএসএফের সাথে কোনরকম সম্পর্ক রাখতে চান না তাঁরা। সম্পর্কের ইতি, অবশেষে জোট ছেড়ে বেরিয়ে এল রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। কোনও রকম রাখঢাক না রেখেই আজ একথা জানান তিনি। কংগ্রেস বেরিয়ে আসার পর বাকি দুই দল সিপিএম ও আইএসএফ জোট নিয়ে কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে সেদিকে নজর থাকবে সবার। তবে কংগ্রেস বেরিয়ে আসার পর এই জোট যে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ল সেকথায় মানছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
No comments