আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রকৃত সত্যানুসন্ধ্যানঃ বর্তমান সময়ের নিরিখে গুরুত্ব এবং তাৎপর্য
খবর দিনভর ডেস্ক, কোলকাতাঃ- আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ শুরু হয় 2010 সালে, ঐতিহাসিক রঞ্জিৎ সেন ছিলেন প্রথম বিভাগীয় প্রধান। দুবছর পরেই বিভাগীয় প্রধান হন ডঃ মুহম্মদ শামীম ফিরদৌস। প্রথমদিকে ডিপার্টমেন্টে না ছিল পর্যাপ্ত অধ্যাপক, আর না ছিল ডিপার্টমেন্টাল লাইব্রেরী। বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডঃ মুহম্মদ শামীম ফিরদৌস এবং অধ্যাপিকা ডঃ সাফুরা রাজেকের যৌথ উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় ছাত্রছাত্রীদের উন্নতমানের পড়াশোনার স্বার্থে নিজেদের ব্যক্তিগত গ্রন্থ সংগ্রহের মাধ্যমে ডিপার্টমেন্টাল সেমিনার লাইব্রেরী তৈরি করেন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ পড়ুয়া আসে বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে, এরা বেশিরভাগই বাংলা মাধ্যমের।
দীর্ঘদিন ধরে সকল ছাত্রছাত্রী দের অনুপ্রেরণা যুগিয়ে আসছেন অধ্যাপক ডঃ মুহম্মদ শামীম ফিরদৌস মহাশয় এবং অধ্যাপিকা ডঃ সাফুরা রাজেক মহাশয়া। ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে নেট- সেটের মত কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের পরীক্ষাগুলো পাস করে দেশের বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করবেন সে বিষয়ে তাঁরা প্রতিনিয়ত উদ্ধুদ্ধ ও সহযোগিতা করে আসছেন।
ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে অধ্যাপক ডঃ মুহম্মদ শামীম ফিরদৌসের উদ্যোগে এবং অধ্যাপিকা ডঃ সাফুরা রাজেকের সহযোগিতায় ইতিহাস বিভাগে সময় মত আন্তর্জাতিক, জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের সেমিনার হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এপর্যন্ত অধ্যাপক ডঃ মুহম্মদ শামীম ফিরদৌস মহাশয়ের তত্ত্বাবধানে ৫ জন গবেষণা সম্পূর্ণ করেছেন এবং তাদের মধ্যে অনেকেই রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যাপনা করছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, স্যারের প্রথম স্কলার ডঃ কামরুল হাসান, যিনি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। ডঃ টোটন শেখ, যিনি পুরুলিয়ার এক কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। শুধু তাই নয়, স্যারের অন্য একজন স্কলার একরামুল হক পশ্চিম মেদিনীপুরের এক সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এবং ডঃ গোলাম মুরশিদ পুরুলিয়ার সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের রিসার্চ অ্যাসিষ্টান্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অন্যদিকে স্যারের আরেক স্কলার ডঃ কবিরুল হক খান যিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিভাগীয় প্রধান থাকার সুবাদে তিনি একের পর এক ছাত্র ছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে আসছেন। ছাত্রছাত্রীরা যাতে নেট সেট পাস করতে পারে তার জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থাও তিনি করেন। ফলস্বরূপ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অনেক ছাত্রছাত্রী আজ নেট সেট জে আর এফ কোয়ালিফাই করে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববদ্যালয়ে যেমন গবেষণায় সুযোগ পাচ্ছেন অন্যদিকে বিভিন্ন কলেজে ও স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন। উল্লেখ্য, ইতিহাস বিভাগের ছাত্র রব্বানী আলম মালদহের এক কলেজে অধ্যাপনা করছেন এবং ডঃ আবু নাসিম তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের এক কলেজের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। শুধু তাই নয়, ইতিহাস বিভাগের অনেক ছাত্র ছাত্রী রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে শিক্ষকতাও করছেন।
অধ্যাপক ডঃ মুহম্মদ শামীম ফিরদৌস এবং অধ্যাপিকা ডঃ সাফুরা রাজেক সর্বদা ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধেনে এগিয়ে আসেন। প্রত্যহ তাঁরা ক্লাসের টাইমিং মেনটেইন করেন এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনীয় ম্যাটেরিয়ালস প্রদান করে তাদের নানান সমস্যার সমাধান করে আসছেন।
আজকে যারা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নবাগত, যারা ইতিহাস বিভাগের এই অতীত সম্পর্কে ধারণা রাখেনা এবং এবিষয়ে তারা অবগত নয়। ফলত অন্যের উস্কানিতে তারা ভুলপথে নেমে আন্দোলন করতে বসেছে। তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ডঃ মুহম্মদ শামীম ফিরদৌস মহাশয় বিভাগীয় প্রধান হিসাবে একটা অসংগঠিত ও ভঙ্গুর ইতিহাস বিভাগকে কিভাবে একটি সংগঠিত বিভাগে পরিণত করেছেন যার অবদান কখনোই ভুলবার নয়। বিভাগীয় প্রধান ডঃ মুহাম্মদ শামীম ফিরদৌস স্যারের সাথে সর্বদা সহযোগিতা করে আসছেন অধ্যাপিকা ডঃ সাফুরা রাজেক ম্যাম।
আমাদের মনে রাখা উচিৎ মিথ্যাকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। সত্যকে লুকিয়ে রাখা যায়, কিন্তু বিলুপ্ত করা যায়না।
No comments