অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম কাতারে আমন্ত্রণ পেলেন সিসি
প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিশরের প্রেসিডেন্ট শহীদ মুহাম্মাদ মুরসী থেকে অবৈধ পন্থায় ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম প্রেসিডেন্ট জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসিকে কাতার সফরের আমন্ত্রণ জানালেন দেশটির আমীর শেখ তামিম বিন হামদ আল থানী। মঙ্গলবার (২৫ মে) এক রাষ্ট্রীয় বিবৃতিতে একথা প্রকাশ করে মিশর। বিবৃতিতে বলা হয়, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আল থানী রাষ্ট্রীয় সফরে মিশর গিয়ে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট সিসির সাথে সাক্ষাতকালে তাদের আমীরের পক্ষ থেকে দোহা সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এসময় তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে দু’দেশের মাঝে নিয়মিত আলোচনা বৃদ্ধি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা এবং সেসব বিষয়ে উভয়ের উদ্দেশ্য ঠিক রেখে নিজ নিজ অবস্থানের সমন্বয় সাধনের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করেন বলে জানা যায়। তবে প্রকাশিত বিবৃতিতে কাতার সফরের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট সিসির কোনো অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি। তিনি যদি আমন্ত্রণ গ্রহণ করে থাকেন তবে ২০১৪ সালে মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের এটি হতে যাচ্ছে তার প্রথম কাতার সফর।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে একে অপরকে বয়কট করে আসার পর গত মার্চে মিশরে প্রথম সফর করেছিলেন কাতারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আল থানী। ৫ জানুয়ারি সৌদিতে ৪১তম উপসাগরীয় আল উলা সম্মেলনের মধ্যদিয়ে কাতারের উপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলো তার সদস্য রাষ্ট্র সৌদি, মিশর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। অবরোধের আওতায় তাদের আকাশসীমা ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা ও কাতারের সম্পর্কচ্ছেদও অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
তাছাড়া, গত ফেব্রুয়ারিতে কাতার ও মিশরের রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের মাঝে উপসাগরীয় পুনর্মিলনীর অঙ্গীকার বাস্তবায়ন ও তার প্রক্রিয়া সম্বন্ধে কুয়েতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বলেও জানা যায়। মূলত উপসাগরীয় পুনর্মিলনীর পর থেকেই দু’দেশের মাঝে সুসম্পর্ক বিরাজ করছে এবং প্রতিনিয়ত একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যাচ্ছে।
No comments